উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহন পদ্ধতিতে সারের কি কোন ভূমিকা আছে?
সরল উত্তরে হয়ত বলব না,কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু আমরা গভীর ভাবে পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই,হ্যাঁ খাদ্য গ্রহন পদ্ধতিতে সারের ব্যাপক ভূমিকা আছে। আমরা জানি উদ্ভিদ, পত্র পল্লব দ্বারা সূর্যের আলো ও বাতাস এবং শিকরের মাধ্যমে মাটিতে সৃষ্ট খাদ্য গ্রহন করে থাকে। মাটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরীর নিমিত্বে আমরা সার প্রয়োগ করে থাকি।এক্ষেত্রে অনেকগুলো রাসয়নিক সার এবং জৈব সার সঠিক আনুপাতিক হারে প্রয়োগটা অতি জরুরী।কারন অনুপাতের তারতম্যের জন্য অনেক সময়ই লাভের চেয়ে লোসকানই বেশি হয়।
মাটি তার স্বাভাবিক গঠন,উর্ভরতা উন্নয়ন করতে পারেনা।মাটিতে উদ্ভিদের জন্য খাদ্যের বিভাজনটা সুষম মাত্রায় থাকেনা বিধায় শিকড় উৎপাদন ও বৃদ্ধি সংকুচিত হতে থাকে এবং মাটি থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্মিত করতে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় আমাদের কাংঙ্ক্ষিত উৎপাদন এবং কৃষক তার ফসলের কাংঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না পেয়ে পুনঃরায় সার ব্যবহার করে।
দুঃখের বিষয় যে কৃষকের এই সার প্রয়োগের সময় প্রয়োজনীয় জাগো জৈব সার ব্যাবহার করে না অথবা করলেও অতি সামান্য।তাই উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। এখানে রাসয়নিক সারের ব্যাবহারের কারনেই মুলত গাছের শিকড় কম হয় এবং গাছের খাদ্য গ্রহন ব্যপক ভাবে ব্যহত হয়। অন্যদিকে জাগো কেঁচো সার ব্যাবহার করলে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈব উপাদান এবং জাগো কেঁচো সারে একাধারে ৯-১৪ টি মাটির প্রয়োজনীয় নির্দোষ রাসয়নিক উপাদান,হরমোন, এনজাইম ও অনুজীব থাকায় সুষম মাত্রায় খাদ্য পেয়ে মাটি তার নিজ কাঠামো এবং উর্ভরতা উন্নত করে। এপর্যায় মাটির কাঠামো, উর্ভরতা সুষম মাত্রায় থাকায় উদ্ভিদ প্রথমেই প্রয়োজনীয় পরিমানে শিকড় উৎপাদনে সহয়তা পায়। পর্যাপ্ত শিকড় পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহন করতে পেরে উদ্ভিদের কাংখিত উৎপাদন নিশ্চিত হয়।
জাগো কেঁচো সার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সহজলভ্য কাঁচামাল ব্যাবহার হয় বিধায় উৎপাদন ব্যায় নাই বল্লেই চলে। তাই আমরা বলতে পারি “উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহন পর্যায় জাগো জৈব সারের ভূমিকা রয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে কেঁচো সার উৎপাদন, ব্যাবহার সম্প্রোসারন করে রাসয়নিক সার আমদানির অর্থ স্বাশ্রয়, ব্যয় কমিয়ে অধিক নিরাপদ কৃষি পন্য উৎপাদন, বাতাসে দুষণের পরিমান হ্রাসে ভূমিকা, মুক্ত জলাশয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির মৎসের কাংঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশটাকে বাসযোগ্য করতে ভূমিকা রাখি।
সাধরণ সম্পাদক,
কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ ভার্মীকম্পোষ্ট উৎপাদক এ্যাসোশিয়েশন,
কথাঃ ০১৭১১০৫৭২৭৬/০১৯১৭৯৮৩০২২